ভূমিকা:

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম “পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।” মানবজাতির  ইহ ও পরলৌকিক সফলতার মূল মন্ত্রটিই প্রতিধ্বনিত হয়েছে মহান ঐশিগ্রন্থ আল কুরআনের এ বাণীতে। পৃথিবীর একমাত্র বিশুদ্ধ ও নিভুর্লগ্রন্থ, মানবজাতির মুক্তির সংবিধান পবিত্র আল কুরআন হিফজ (মুখস্থ) করার অসংখ্য ফজিলত কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত রয়েছে। তাই আমাদের দেশের প্রচলিত মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় ছোটবেলা থেকেই ঐশিগ্রন্থ আল কুরআন হিফজ (মুখস্থকরণ) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

তবে প্রচলিত মাদরাসায় হিফজের পাশাপাশি কুরআনের বাস্তব জ্ঞান তথা আধুনিক শিক্ষা না থাকায় শিক্ষার্থীরা যুগোপযোগী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। প্রকৃতপক্ষে কুরআন হিফজের কারণে শিক্ষার্থীর মেধা বিকশিত এবং উৎকর্ষিত হয়, ফলে তা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্তরায় না হয়ে আরো বেশী সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সুতরাং উন্নত পরিবেশে হিফজের পাশাপাশি যুগোপযোগী শিক্ষাদান ও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সময়ের দাবী। 

অপরদিকে নৈতিকতা বিবর্জিত আধুনিক শিক্ষা যেমনিভাবে মানবতার কল্যাণ সাধনে সক্ষম নয়, ঠিক তেমনিভাবে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করে গড়ে উঠা ধমীর্য় শিক্ষা এবং এর ধারকদেরকে পরনির্ভরশীলতায় পরিণত করে। তাই “ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসা” বাংলাদেশে এমন এক বিস্ময়কর শিক্ষার ব্যবস্থার কথা বলছে, যেখানে কুরআন—সুন্নাহ ভিত্তিক ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার অপূর্ব সমন্বয়ের পাশাপাশি ক্বাওমি নিসাব, মাদানী নিসাব ও ন্যাশনাল কারিকুলামকে অত্যন্ত সুনিপুনভাবে ৪ বছরের শিশুকাল থেকে ১৬ বছরের ছাত্র/ছাত্রী এসএসসি (দাখিল) ও বেফাকের অধীনে কুদুরী/কাফিয়া সম্পন্ন করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ। পর্যায়ক্রমে ক্বওমী নেসাবের দাওরায়ে হাদীসের সাথে সাথে কলেজ লেভেলের ঐঝঈ /আলিম এবং ভার্সিটি পর্যায়ের অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করতে পারবে। যার বাস্তবসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম প্রণয়নও করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

সে লক্ষ্যে, সু—পরিকল্পিতভাবে বিজ্ঞান ও তথ্য—প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সময়োপযোগী পদ্ধতির সাথে শিক্ষার্থীর চিন্তা—চেতনায় সচেতনতা ও জবাবদিহিতার অনুভূতিকে সার্বক্ষনিক জাগ্রত করে উন্নত পাঠ্যক্রম প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষাদানে ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক কল্যাণ লাভের দীপ্ত প্রত্যয় নিয়ে “ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসা” ২০০৮ ইং থেকে নতুন দিগন্তে যাত্রা শুরু করেছে। আল্লাহ তা’য়ালার সমীপে আমাদের এ নেক প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে তাঁর দয়া, রহমত, নুসরত কামনা করছি। আমীন 


 যাদের জন্য জেনারেল ও এ্যারাবিক সিলেবাসের এ সমন্বয় সাধন

  •  যারা আধুনিক তথা জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণার্থে ইসলাম ধর্মকে লালন ও প্রচারের জন্য এবং পৃথিবীর অধঃপতিত জাতিকে মুক্তি দেওয়ার অভিপ্রায়ে ইলমে দ্বীন শিক্ষা করতে চান, এ প্রয়াস তাদের জন্য।
  • যারা ইলমে দ্বীন অধ্যয়নের পাশাপাশি দ্বীন প্রচারের লক্ষ্যে , অসভ্য সমাজকে সভ্য সমাজে পরিণত করতে সরকারী বা বেসরকারী উচ্চ থেকে উচ্চতর পদে সমাসীন হওয়ার ইচ্ছা রাখেন। অথবা বহিির্র্বশ্বে দেশ ,জাতি ও ইসলাম ধর্মের জন্য অবদান রাখার ইচ্ছা পোষন করেছেন। এ ব্যতিক্রমি সমন্বয় তাদের জন্য।
  •  যারা বাতিলের ছুড়ে দেওয়া যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার হিম্মত ও সৎ সাহস বক্ষে ধারন করতে চান । তাদের জন্যই আমাদের এ প্রয়াস।
  • সবোর্পরি যারা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে রাজিখুশি করতে আমলদার হাফেজ কুরআন হতে চান এবং এর প্রচারে বহুবিধ জ্ঞান সমৃদ্ধ করে চৌকষ জ্ঞানী আলেম হতে চান, তাদের জন্য এ প্রয়াস।
  • কেন প্রয়োজন হলো এ সমন্বয়ের !

ইসলামের সূচনা কাল থেকেই ইসলাম বিরোধী বাতিল শক্তি ইসলাম ও মুসলিম জাতি নিধনে এতটাই তৎপর যে, বাতিল শক্তি বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন অবয়বে তার পূর্ণ শক্তি ব্যয় করে ইসলাম ধ্বংসের প্রয়াসে কসুর করেনি। 

কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসে সে বাতিল শক্তি আরো বেপরোয়া হয়ে ইসলাম ধ্বংসে যারপরনাই উঠে পড়ে লেগেছে। বাতিল শক্তিগুলো বিভিন্ন ফেৎনার রুপ ধারন করে পৃথিবীর মাঝে মহা সত্য ধর্ম ইসলামকে একের পর এক আঘাত করেই চলেছে। তাই মুসলিম জাতি হিসেবে সেই বাতিল শক্তির বিভিন্ন রূপ চিহ্নিত করে তার মোকাবেলায় সর্বশক্তি ব্যয় করাই হলো সময়ের অন্যতম দাবী। আর সে দাবীকেই পূর্ণমাত্রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইসলামী শিক্ষা ও জেনারেল শিক্ষার সমন্বয় ঘটানো ছাড়া অনেকটাই অসম্ভব। কারণ জাগতিক জ্ঞানের ভিত্তিতেই বাতিল শক্তি তার পূর্ণরূপ প্রকাশ করে। এবং মুসলিম জাতিকে কোণঠাসা করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তাই তাদের সমুচিত জবাব কেবলমাত্র সমন্বিত শিক্ষা ছাড়া সম্ভব নয়। ফলশ্রতিতে সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করা বুদ্ধিবৃত্তিক ও ফলপ্রসু কাজ হবে (ইংশাআল্লাহ)। তাই এ সমন্বয় ঘটানো ইসলামী চিন্তাবিদগনের মতে সময়ের সাহসী পদক্ষেপ বলে পরিগণিত হয়েছে। 

  

লক্ষ ও উদ্দেশ্য 

একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানময় পৃথিবীতে বহুবিধ চ্যালেঞ্জের যুগে ধর্মহীন কর্মশিক্ষা বা কর্মহীন ধর্মশিক্ষা একেবারেই পরিত্যাজ্য হয়ে পড়েছে। সন্তানদের ধর্ম ও কর্ম উভয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে, ধর্মীয় ও পার্থিব উভয় ধারায় সর্বোত্তম কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অভিপ্রায় নিয়ে আমাদের এই মহৎ ও বৃহৎ পথে যাত্রা। 

ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসা এর বিশেষত্ব

  • অত্র প্রতিষ্ঠানটি সেমি এ্যারাবিক ও ইংলিশ মিডিয়াম ভিত্তিক একটি দ্বীনি বিদ্যাপীঠ।
  •  Madrasha Management Software দ্বারা আইটি বেইজড ডিজিটাল ক্যাম্পাস
  • বালক/বালিকা উভয় ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ (AC) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
  • আমাদের শিক্ষামান উন্নয়ন ও সকল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিশেষ স্বার্থে CC Camera দ্বারা পুরো প্রতিষ্ঠান সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হয়।
  •  Online System Education: দেশ বিদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে Online এর মাধ্যমে মাদরাসার যাবতীয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ।
  •  শিক্ষার্থীদের সার্বিক অবস্থা Phone/Sms  এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিক অবিহিত করা হয়।
  • স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিয়মিত Checkup  এবং অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা।
  •  শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগনের পাঠ বোঝার সুবিধার্থে দৈনিক পড়ার সীট প্রদান এবং www.dicmadrasah.com বা www.dicmadrasha.com  এর Website মাধ্যমে নিয়মিত Digital Dairy, CW, HW, WT, LT, MT  ইত্যাদি প্রকাশ করা হয়। ফলে অভিভাবক ঘরে বসেই খুব সহজে মোবাইল/কম্পিউটারে সার্চ করে সন্তানের পড়ালেখা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যমূলক নির্দেশনা পেয়ে যান।
  • IPS ও Generator  এর মাধ্যমে সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
  • Fridge, Filter সমৃদ্ধ উন্নত ডাইনিং।
  • Theoretical & practical জ্ঞানের সমন্বয় সাধন।
  •  ৫ম, ৮ম, ১০ম শ্রেণীর সরকারী বোর্ড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ও ভাল রেজাল্টের জন্য বিশেষ তত্বাবধান।
  •  হিফজ রিভিশন গ্রুপের মাদরাসা বোর্ডে ভাল রেজাল্টের জন্য বিশেষ তত্বাবধান।
  • মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী বিষয় ভিত্তিক দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পাঠদান।
  • দেশবরেণ্য আলেমে দ্বীন ও শিক্ষাবীদদের সার্বিক তত্ত্বাবধান।
  • আমাদের সমমানের শীর্ষ ক্যাডেট মাদরাসাসমূহের তুলনায় খরচ অনেক কম।
  • নিরিবিলি মনোরম পরিবেশ ও উন্নত আবাসিক ব্যবস্থা্
  • প্রতিটি শিক্ষার্থী থেকে দৈনন্দিনপাঠ আদায়ের ব্যবস্থা।
  • দৈনিক কার্যাবলী রুটিন অনুযায়ী সম্পাদন।
  • ইসলামী বাস্তব জ্ঞানদান ও তার লালনে সার্বক্ষনিক গাইড।
  •  সুযোগ্য , কর্মঠ ও শিক্ষানুরাগী একঝাঁক তরুণ শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত। 
  • মেধাবী ও গরীব ছাত্রদের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়।
  •  সরকারী বোর্ড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ও ভাল রেজাল্টের জন্য বিশেষ তত্ত্বাবধান।
  •  ব্যস্ত ও প্রবাসী অভিভাবকদের সন্তানদের দায়িত্ব গ্রহন।
  • শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, আকিদা—বিশ্বাস ও আমল—আখলাক পরিশুদ্ধ রাখার জন্য আবাসিক শিক্ষক দ্বারা সার্বক্ষণিক তত্বাবধান।
  • শিক্ষার্থীদের মেধা অনুযায়ী যে কোনো বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের পথ সুগম করা।
  • প্রতিটি ক্লাশেই রয়েছে সিলেবাস ভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষা।
  • ক্যাডেট সিস্টেমে পরিচালিত।
  •  শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি মূল্যায়নে ছাত্র—শিক্ষক—অভিভাবক সমন্বয়ে Counselling করা হয়।
  •  ইসলামিক ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা।
  • অত্র মাদরাসা শিশুবান্ধব একটি সুরক্ষিত ও নিরাপদ ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের মোবাইল, যে কোনো ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস বা ক্ষতিকর কোনোকিছু রা খা বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

 

বিশেষ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমি বৈশিষ্ট্য

  • শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আমল আখলাক সুন্দর রাখতে আবাসিক রুমগুলো CC Camera আওতাভূক্ত।
  • বালক ও বলিকা উভয় ক্যাম্পাসের ক্লাসরুমের পাশাপাশি আবাসন রুম সম্পূর্ণ (AC) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
  • ঋৎরফমব, ঋরষঃবৎ সমৃদ্ধ রুটিনমাফিক মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থা।
  •  পৃথক বাথ ও শীতকালে গরম পানির জন্য Geyser ব্যবস্থা।
  •  IPS ও Generator এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
  •  পৃথক রুমে বিশ্রাম ও ঘুমানোর জন্য খাটের ব্যবস্থা।
  • দৃষ্টি নন্দন, পরিপাটি ও সাজানো গোছানো কক্ষ।
  • নির্ধারিত খাদেমগণ দ্বারা রুম পরিষ্কার ও সুসজ্জিত করে রাখা হয়।
  • শিক্ষকগণের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক খাদেম/খাদেমাগনের মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের যাবতীয় খোঁজ খবর, ঘুম, গোসল, নামাজ, আমল, পানাহার, ক্লাস, নাস্তা ইত্যাদির তদারকী ও নিয়ন্ত্রন নিশ্চিত করা হয়।
  • ব্যক্তিগত মালামাল রাখার জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ফ্রি লকারের ব্যবস্থা।
  •  তোষক, বালিশ, বিছানা, কভার, প্লেট, গ্রস্নাস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্রি সরবরাহ করা হয়। তবে ব্যক্তিগতআসবাবপত্র ব্যবহার করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারবে।
  • নিজস্ব খাদেম/খাদেমার মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের যাবতীয় ব্যবহার্য পোশাক ধোলাই/আয়রণের ব্যবস্থা।
  • শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, আকিদা—বিশ্বাস ও আমল আখলাক পরিশুদ্ধ রাখার জন্য আবাসিক শিক্ষক দ্বারা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান।
  • বড়—বুযুর্গ আলেমদের মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষক/শিক্ষিকাদের আকিদা—বিশ্বাস ও আমল আখলাক পরিশুদ্ধ করার জন্য এসলাহি মজলিসের আয়োজন।
  • প্রশিক্ষিত ও স্বনামধন্য মাইণ্ড ট্রেইনারদের মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়।


এক নজরে সমন্বিত বিভাগসমূহ

  •  নূরানী + স্কুল
  • নাজেরা + স্কুল
  • হিফজুল কুরআন + জেনারেল
  •  স্কুল + হিফজুল কুরআন (২য় শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীসহ)
  • স্বতন্ত্র হিফজুল কুরআন
  • হিফজ রিভিশন গ্রুপ।
  •  হিফজ মুসাবাকাহ গ্রুপ।
  • প্লে গ্রুপ থেকে ১০ম (দাখিল) শ্রেণী + ১ম জামাত থেকে কুদুরী/কাফিয়া (সমন্বিত বিভাগ)।
  •  কাফিয়া/শরহে জামী থেকে দাওরায়ে হাদীস + অনার্স—মাস্টার্স (পরিকল্পনাধীন)


  শ্রেণী/বিভাগ (ব্যাখ্যামূলক)

    অত্র প্রতিষ্ঠানটি জেনারেল ও এ্যারাবিক (মাদরাসা) শিক্ষা সমন্বিত একটি         আধুনিক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

  •  এখানে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক পৃথক ক্যাম্পাসে  (জেনারেল বিভাগ) প্লে গ্রুপ থেকে SSC পর্যন্ত (পর্যায়ক্রমে অনার্স—মাস্টার্স ও দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত) অধ্যায়নের সুযোগ রয়েছে।
  • নূরানী বিভাগ: প্লে গ্রুপ, নার্সারী ও কেজি। [অনুর্ধ্ব ৪ বছর থেকে ৫ বছর]
  •  নাজেরায়ে কুরআন বিভাগ: প্রথম শ্রেণী।[অনুর্ধ্ব ৬ বছর]
  •  হিফজুল কুরআন বিভাগ: দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী [অনুর্ধ্ব ৭ থেকে ৯ বছর] (হিফজের শিক্ষার্থী না হলে নাজেরা কোর্স ও ১ম জামাত)
  •  হিফজ রিভিশন বিভাগ: পঞ্চম শ্রেণী [অনুর্ধ্ব ১০বছর] (হিফজের শিক্ষার্থী না হলে তাইসির/২য় জামাত)
  •  মিজান: ষষ্ঠ শ্রেণী [অনুর্ধ্ব ১১ বছর]
  •  নাহবেমীর: সপ্তম শ্রেণী। [অনুর্ধ্ব ১২ বছর]
  •  হেদায়াতুন্নাহু: অষ্টম শ্রেণী। [অনুর্ধ্ব ১৩ বছর]
  •  কাফিয়া/কুদুরী: নবম—দশম (SSC) শ্রেণী। [অনুর্ধ্ব ১৪—১৫/১৬ বছর]
  •  শরহে বেকায়া ও জালালাইন: আলিম /HSC পর্যন্ত। [অনুর্ধ্ব ১৬—১৭/১৮ বছর]
  •  মেশকাত ও দাওরায়ে হাদীস: ফাজিল—কামিল/Hon's পর্যন্ত। [অনুর্ধ্ব ১৯—২৪ বছর]
  • (মেশকাত ১ বছর, দাওরায়ে হাদীস ২ বছর [অনুর্ধ্ব ১৯—২১ বছর])। দাওরায়ে হাদীসের ফাইনাল পরীক্ষার পর অনার্স ও মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিবে)



                              শ্রেণী/বিভাগের বৈশিষ্ট্য



 নূরানী বিভাগ + প্লে — নার্সারী/কেজি শ্রেণী

        শিক্ষাকাল ২ বছর 

  •  এ বিভাগে স্বতন্ত্র স্কুলের প্লে—নার্সারী ক্লাশের পাঠ্যক্রম সন্নিবেশিত হয়েছে।
  •  নূরানী তা’লিমুল কোরআন বোর্ডের অধীনে হুবহু সিলেবাস চয়নের মাধ্যমে শিক্ষাদান।
  •  সিলেবাস ভিত্তিক বিশুদ্ধ উচ্চারণে আরবি বর্ণমালা ও মাখরাজ মুখস্থ করানো।
  •  সিলেবাস ভিত্তিক জরুরী দুআ ও মাসায়েল মুখস্থ করানো।
  •  সিলেবাস ভিত্তিক হিফজুল কোরআন ও হাদিস শরীফ অর্থসহ মুখস্ত করানো।
  •  তিন ভাষার হস্তলিপি সুন্দর করানো।
  •  আরবী ও ইংরেজী ভাষায় কথা বলার জন্য স্পোকেনের ব্যবস্থা।


 নাজেরা বিভাগ + প্রথম শ্রেণী

        শিক্ষাকাল ১ বছর  

  • এ বিভাগে স্বতন্ত্র স্কুলের প্রথম শ্রেণির ক্লাশের ব্যবস্থা রয়েছে।
  •  সিলেবাস ভিত্তিক তাজবীদ ও তারতীলের সাথে কুরআন তেলাওয়াত শেখানো হয়।
  •  সিলেবাস ভিত্তিক দৈনন্দিন জীবনের জরুরী দুআ ও মাসায়েল মুখস্থ করানো।
  • কোরআন মাজিদের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচিত অংশ মুখস্থ করানো হয়।
  •  সিলেবাস ভিত্তিক হিফজুল কোরআন ও হাদিস শরীফ অর্থসহ মুখস্ত করানো।
  •  তিন ভাষার হস্তলিপি সুন্দর করানো।
  •  হিফজের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়।


 হিফজুল কোরআন + জেনারেল

      শিক্ষাকাল ৩ বছর 

  •  এ বিভাগে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির স্কুলের বেসিক (বাংলা, ইংরেজি গণিত) পাঠ্যক্রম সন্নিবেশিত হয়েছে।
  •  আন্তর্জাতিক মানের হাফেজদের তত্ত্বাবধানে কুরআন মাজিদ হিফজ করানোর ব্যবস্থা।
  •  তাজভীদ ভিত্তিক বিশুদ্ধ উচ্চারণে সুন্দর সুললিত কন্ঠে তিলাওয়াত মাশক করানোর ব্যবস্থা।
  •  আরব বিশ্বের সুপ্রশিদ্ধ ক্বারীদের তিলাওয়াত অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দান।
  •  জাতীয় ও আন্তজার্তিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন। 


স্কুল + হিফজুল কুরআন

      শিক্ষাকাল ৭ বছর 

  • এ বিভাগে ন্যাশনাল কারিকুলাম অনুযায়ী স্বতন্ত্র স্কুলের ২য় থেকে ৮ম শ্রেণীর পাঠ্যক্রম সন্নিবেশিত হয়েছে।
  •  আরব বিশ্বের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী সম্পূর্ণ স্কুলের সিলেবাসের পাশাপাশি ৭ বছরে সম্পূর্ণ কুরআন হিফজ সম্পাদনের সিলেবাস রয়েছে।
  •  আন্তর্জাতিক মানের হাফেজদের তত্ত্বাবধানে কুরআন মাজিদ হিফজ করানোর ব্যবস্থা।
  •  তাজভীদ ভিত্তিক বিশুদ্ধ উচ্চারণে সুন্দর সুললিত কন্ঠে তিলাওয়াত মাশক করানোর ব্যবস্থা।
  •  আরব বিশ্বের সুপ্রশিদ্ধ ক্বারীদের তিলাওয়াত অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দান।
  •  জাতীয় ও আন্তজার্তিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন।


স্বতন্ত্র হিফজুল কুরআন

শিক্ষাকাল ৩ বছর  

  • এ বিভাগে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র কুরআনুল কারীম হিফজ সম্পাদনের ব্যবস্থা রয়েছে।
  •  আন্তর্জাতিক মানের হাফেজদের তত্ত্বাবধানে কুরআন মাজিদ হিফজ করানোর ব্যবস্থা।
  •  তাজভীদ ভিত্তিক বিশুদ্ধ উচ্চারণে সুন্দর সুললিত কন্ঠে তিলাওয়াত মাশক করানোর ব্যবস্থা।
  •  আরব বিশ্বের সুপ্রশিদ্ধ ক্বারীদের তিলাওয়াত অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দান।
  •  জাতীয় ও আন্তজার্তিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন।

                         

 হিফজ রিভিশন গ্রুপ

শিক্ষাকাল ৩ বছর 

  এ বিভাগে সদ্য কুরআনে হাফেজদের অধিকতর ইয়াদ করানোর লক্ষ্যে কুরআন হিফজ ও শুনানোর ব্যবস্থা রয়েছে।

  •  আন্তর্জাতিক মানের হাফেজদের তত্ত্বাবধানে কুরআন মাজিদের শুনানি করানোর ব্যবস্থা।
  •  আরব বিশ্বের সুপ্রশিদ্ধ ক্বারীদের তিলাওয়াত অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দান।
  • জাতীয় ও আন্তজার্তিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন।

                                                      

হিফজ মুসাবাক্বাহ গ্রুপ

শিক্ষাকাল ১ বছর

  •  এ বিভাগে কুরআনে হাফেজদের আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হিফজ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের ব্যবস্থা রয়েছে। কুরআনের হিফজ প্রতিযোগীতার জন্য আন্তর্জাতিকমানের তেলাওয়াত শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের হাফেজদের তত্ত্বাবধানে গ্রুপটি পরিচালিত হয়। আরব বিশ্বের সুপ্রশিদ্ধ ক্বারীদের তিলাওয়াত অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দান।
  • এ বিভাগে কুরআনে হাফেজদের আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হিফজ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের ব্যবস্থা রয়েছে।
  •  কুরআনের হিফজ প্রতিযোগীতার জন্য আন্তর্জাতিকমানের তেলাওয়াত শেখানোর ব্যবস্থা  রয়েছে।
  •  আন্তর্জাতিক মানের হাফেজদের তত্ত্বাবধানে গ্রুপটি পরিচালিত হয়।
  •  আরব বিশ্বের সুপ্রশিদ্ধ ক্বারীদের তিলাওয়াত অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দান।


প্লে গ্রুপ থেকে ১০ম (দাখিল) শ্রেণী + ১ম জামাত থেকে কুদুরী/কাফিয়া (সমন্বিত বিভাগ)

      শিক্ষাকাল ১২ বছর 

  • এ বিভাগে স্বতন্ত্রভাবে সরকারী ও নামিদামি স্কুলের পূর্ণাঙ্গ কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়।
  •  স্কুলের পাশাপাশি নূরানী, নাজেরা বিভাগের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস রয়েছে।
  •  ক্বওমী সিলেবাসের ১ম জামাত থেকে  কুদুরী/কাফিয়া পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিতাব সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
  •  ক্বওমী ও আলিয়া সিলেবাসের আরবী কিতাবাদীর যৌক্তিক সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।
  •  সহিহশুদ্ধভাবে তাজভিদ ভিত্তিক কুরআন তেলাওয়াত শেখানোর ব্যবস্থা  রয়েছে।
  •  সকল শ্রেণীতে সব ধরনের নামাজের প্রাক্টিক্যাল বিশুদ্ধ আমল শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
  • আন্তর্জাতিক ভাষার প্রয়োজনীয়তায় ইংলিশ ও এ্যারাবিক স্পোকেনের কোর্স রয়েছে।
  •  আলিয়া সিলেবাসের আলোকে ৫ম, ৮ম ও ১০ম (উধশযরষ) এর বোর্ড পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা রয়েছে। 
  •  ১০ম (Dakhil) পাশ করে সরকারী সার্টিফিকেট গ্রহণ করে বিশ্বের নামিদামি টহরাবৎংরঃু তে স্কলারশিপে অধ্যয়নের জন্য সুযোগ তৈরীসহ ক্বওমী মাদরাসায় কাফিয়া—শরহেজামীতে অথবা আলিয়া মাদরাসার আলিম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে।



 কো—কারিকুলাম

শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি ছাত্র/ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য এখানে রয়েছে বহুমুখি সহপাঠ্যক্রম।

  • ইংরেজি ও আরবী স্পোকেন প্রশিক্ষণ

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা ও আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার প্রধান সহায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ভাষা শেখানোর লক্ষ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত ইংলিশ ও এ্যারাবিক স্পোকেন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।

  •  বাংলা, ইংরেজি ও আরবী বক্তৃতা প্রশিক্ষণ

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বচনভঙ্গি, উচ্চরণশৈলি ঠিক করতে ও যে কোনো মঞ্চে সাহসের সাথে বিষয় ভিত্তিক বক্তৃতা প্রদানের সহজতার জন্য নিয়মিত বক্তৃতা প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।

  •  
  • হামদ—নাত, ক্বেরাত ও ইসলামী সঙ্গীত প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগীতা
  • শিক্ষার্থীদের চতুর্মূখি যোগ্যতা, সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতি সপ্তাহে হামদ, নাত ও ইসলামী সঙ্গীত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

  • কুরআন মশক ও হুসনে সওত প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগীতা
  •  আযান, নামাজ ও যে কোনো নামাজের ইমামতির প্রাক্টিক্যাল প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগীতা
  • ড্রইং/আর্ট ও ইসলামী ক্যালিগ্রাফি প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগীতা
  • ছড়া, রাইমস, কবিতা আবৃত্তি প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগীতা
  •  ডিবেটিং/বিতর্ক/লিডারশীপ প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগীতা


  •  নামাজসহ ফিকাহ শাস্ত্রের বিভিন্ন মাসআলা—মাসায়েল প্রতিযোগীতা ও প্রাক্টিক্যাল আমল

শিক্ষার্থীদের পুঁথিগত শিক্ষার পাশপাশি সেই শিক্ষাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রাক্টিক্যালভাবে প্রত্যেকটি বিষয় শেখানো হয় এবং প্রতিযোগীতার মাধ্যমে বিষয়টিতে সকল শিক্ষর্থীদের উদ্বুদ্ধ করানো হয়।


  •  সাধারণ জ্ঞান ও ইসলামি জ্ঞান প্রতিযোগিতা

প্রাচীন ও সমকালীন বিশ্বের এবং ইসলামী ইতিহাসের নানান বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে আরো শানিত করতে সাধারণ জ্ঞানের আসর ও প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা করা হয়।


  •  সাহিত্য আসর

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বচন ও লিখন শক্তি শানিত করতে এবং বাংলা ভাষায় নিগুঢ় দক্ষতা অর্জনে সাহিত্য শেখার বিকল্প নেই। 

কেননা, সাহিত্যের মাধ্যমে মানুষকে যে কোনো বিষয় সহজে বোধগম্য করানো সহজ হয়। সেই লক্ষেই প্রতিমাসে বাংলা সাহিত্যের আসর হয়।


  •  বাংলা, ইংরেজি ও আরবী গ্রামার প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগীতা।

ক্লাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের সহজবোধ্যভাবে ভাষাচর্চা ও বিদেশী ভাষা আত্মস্থ করানোর লক্ষ্যে ভাষা, ব্যাকরণ প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা করা হয়।


  •  বার্ষিক শিক্ষা সফর

প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের আনন্দ ও সুস্থ্য বিনোদন দেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে ভ্রমনের ব্যবস্থা করা হয়। যেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলন ঘটে।


  • শিক্ষা পদ্ধতি

  •  টিউটোরিয়াল ও সেমিস্টার পদ্ধতি, ক্লাশের পড়া ক্লাশেই সম্পাদন করা, সহজ—বোধগম্য ও পরিকল্পিত উপায়ে পাঠ উপস্থাপন, আবাসিক শিক্ষকদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কোচিং এর ব্যবস্থা, হাতে কলমে শিক্ষাদান, নিয়মিত বাড়ীর কাজ ও ডায়রী সংরক্ষন, বৃত্তি ও কেন্দ্রীয় পরিক্ষার জন্য বিশেষ কোচিং, অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বিশেষ তত্তাবধান, শিক্ষার্থীদের সার্বিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন অভিভাবকদের নিকট নিয়মিত সরবরাহের ব্যবস্থা।
  •  প্রতি শিক্ষাবর্ষে তিনটি সেমিস্টার। প্রত্যেক সেমিস্টারকে দুইটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, টিটোরিয়াল ও সেমিস্টার। অর্থাৎ ১ বছরে মোট ৬টি পরীক্ষা নেওয়া হয়, যা ২ মাস পর পর অনুষ্ঠিত হয়। ৬টি পরীক্ষার গড় চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।


  •  মানবন্টন

  •  টিউটোরিয়াল পরীক্ষা: মূল নম্বর— ২৫।
  •  পার্বিক পরীক্ষা: মূল নম্বর— ৭৫।

    মোট মূল নম্বর—১০০, পাশ নম্বর— ৩৩


  •  পাঠ পরিকল্পনা

প্রতিটি বিষয়ের CT, LT, WT, MT ও Semester Exam  এর সময়সীমার আলোকে পাঠ পরিকল্পনা করা হয়। প্রত্যেক শিক্ষক/শিক্ষিকা প্রতিটি সেমিস্টারের পূর্বে সিলেবাসের আলোকে Lesson Plan(পাঠ পরিকল্পনা) তৈরী করে থাকেন।

  •  ডায়েরি/শীট সংরক্ষণ

শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীর দৈনিক পড়ার বিষয়বস্তু, পড়ালেখার অবস্থা, নৈতিক মান, ব্যক্তিগত আচার—আচরণের অবস্থান এবং উপস্থিতিসহ সার্বিক পারফরমেন্স এর তথ্য অভিভাবকবৃন্দের অবহিত হওয়া প্রয়োজন। 

সেজন্য সকল শিক্ষার্থীর ডায়েরি সংরক্ষন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে Phone/Sms এর মাধ্যমে বা মাদরাসার নিজস্ব Website/Software  এ Login  এর মাধ্যমে তার বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। সেই রিপোর্টের আলোকে অভিভাবকগণ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুযোগ পান। আর এই রিপোর্টটিই হচ্ছে শিক্ষক ও অভিভাবকের মধ্যে সেতুবন্ধন।


 শিক্ষাবর্ষ ও ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য

শিক্ষার মাধ্যম: বাংলা, ইরেজী, আরবী।

শিক্ষাবর্ষ: ক্যাডেট বিভাগ/সমন্বিত বিভাগঃ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর।

হিফজুল কুরআন বিভাগঃ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এবং শাওয়াল মাস থেকে রমাদ্বন।

 অফিস থেকে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ভর্তি ফরম ও প্রসপেক্টাস সংগ্রহ করতে হয়।

ক্যাডেট বিভাগে প্রতি বছর ১লা নভেম্বর হতে পরবতীর্ বছরের জন্য ভর্তি শুরু হয়।

 এছাড়া শর্ত সাপেক্ষে সারা বছর ভর্তি হওয়া যায়।


 ভর্তি ফরমের সাথে যা দিতে হবে

  •  ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  •  প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন বা ছাড়পত্র।
  • প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফি জমা দেয়ার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
  •  প্রকৃত অভিভাবক ও একজন অভিভাবক প্রতিনিধি, যারা ভিজিটর কার্ড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীর সাথে সাক্ষাত করবেন এবং শিক্ষার্থীকে বাসায় আনা নেয়া করবেন, তাদের ঠিকানা ভর্তি ফরমে লিখবেন এবং প্রত্যেকের ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ও ২ কপি করে স্ট্যাম্প সাইজের রঙ্গিন ছবি জমা দিবেন।

       মাদরাসার নির্ধারিত ইউনিফর্ম

  •  বালকঃ

(মোট ৩ সেট বানাতে হবে) মাস্টার (খাকি) কালারের শেরওয়ানী, যার কলার এবং পুরো প্লেট (সামনের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত) এ্যামব্রয়ডারী, বুকের বামপাশে পকেট এবং পকেটের উপর মাদ্রাসার মনোগ্রাম খঁচিত ব্যাচ, মাস্টার (খাকি) কালারের স্যালোয়ার, সাদা কেড্স, সাদা মোটা গোল টুপি, (শীতকালের জন্য নেভি ব্লু কালার সোয়েটার) 

  •  বালিকাঃ

(মোট ৩ সেট বানাতে হবে) প্লে, নার্সারী, কেজি ও প্রথম শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের মাস্টার কালারের কামিজ, দুই হাতায় সাদা চিকন ডাবল পাইপেন, কোমরে সাদা বেল্ট, সাদা স্যালোয়ার যার নিচের প্লেট হবে খাকী কালার, সাদা গোল হিজাব যার চতুরপার্শ্বে মাস্টার কালারের চিকন ডাবল পাইপেন, কপালের উপর খাকি কালার পট্টি ও ডান পার্শ্বে মাদরাসার মনোগ্রাম সম্বলিত ব্যাজ ও কালো জুতা (শীতকালের জন্য লাল কালার সোয়েটার) 

  •  বিঃদ্রঃ নাজেরা, হিফজ ও ২য় থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের কারুকার্যহীন ঢিলেঢালা কালো বোরকা ও কালো জুতা।


বাৎসরিক ছুটি

  • রমাদ্বন, শবে—ক্বদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৩—১৫দিন।
  •  ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১২দিন।
  •  ডিসেম্বর মাসের শেষে ৮দিন।
  •  প্রত্যেক পরীক্ষার পর ৩দিন।

ক্লাস গ্রহণঃ প্রতি শনি থেকে বৃহস্পতিবার। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ, তবে আবাসিকদের জন্য নয়।


  • নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা

অনাবাসিক ও ডে—কেয়ার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। আগ্রহী অভিভাবকবৃন্দ নির্ধারিত ফরম পূরণ করতঃ ফি পরিশোধের মাধ্যমে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।



অর্জন

  •  আমাদের অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর অসংখ্য ছাত্র/ছাত্রী হাফেজে কুরআন হয়ে বের হচ্ছে এবং ৫ম, ৮ম ও ১০ম (ঝঝঈ) পরীক্ষায় গোল্ডেন ও অ+ সহ ঈর্ষনীয় ফলাফল অর্জন করছে।
  •  হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করেছে। বহিঃর্বিশ্বে প্রতিযোগীতার জন্য প্রস্তুতী গ্রহণ করা হয়।
  •  আমাদের অনেক ছাত্র অত্র প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা শেষ করে উন্নত শিক্ষা দেশের নামিদামি মাদরাসা ও ভার্সিটিতে অধ্যয়ন করে থাকে। এছাড়াও বিশ্বের নানান প্রান্তে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। যেমনঃ মিশরের আল আজহার, সৌদি আরবের মদিনা ইউনিভার্সিটি ও মালয়েশিয়ার মাশা—বোখারী ইউনিভার্সিটি উল্লেখযোগ্য।
  •  আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন টিভি প্রোগ্রামে এবং প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে থাকে।
  •  এছাড়া আমাদের শিক্ষার্থীরা আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের বৃত্তিপরীক্ষায় অংশ নিয়ে ব্যাপক সফল্য অর্জন করে থাকে।