শিক্ষকতাকে একটি মহৎ ও মানবিক পেশা হিসাবে গণ্য করা
হ’লেও শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়া অনেক জটিল কাজ।আমাদের মহানবী হযরত মুহা্ম্মাদ
(স)ছিলেন আমাদের শিক্ষক। শুধু তিনি নন, আল্লাহর প্রেরিত সকল নবী রাসুল (আঃ)গণই
প্রেরিত হয়েছিলেন মানবজাতীর শিক্ষক রুপে।
সুতরাং শিক্ষকতা পেশা কোনো মানবসৃষ্ট পেশা নয়, এটি ঔশি সৃষ্ট পেশা।
শিক্ষকের অর্জিত সুজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাঙ্খিত মান অনুযায়ী সঞ্চারিত
করা খুব সহজ কথা নয়। এজন্য শিক্ষককে যেমন দায়িত্ব সচেতন হতে হবে তেমনি
শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষাগ্রহণে যথাসম্ভব আগ্রহী করে তুলতে হবে।
যেসব শিক্ষার্থী নিজের বিদ্যাবুদ্ধির উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটাতে নিজ থেকেই
প্রয়াসী তাদের মেধা দ্রুতই বিকশিত হয়। কিন্তু যাদের মাঝে শিক্ষাগ্রহণে অনাগ্রহ
পরিলক্ষিত হয় তাদের মাঝে প্রেরণা সৃষ্টিতে শিক্ষকের ভূমিকা অগ্রগণ্য।
তাই শিক্ষককে তার নিজের মৌলিক দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন জানা দরকার, তেমনি শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদানের ফলপ্রসূ পদ্ধতিও জানা দরকার।
প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চায় মানসম্মত পাঠদানের মাধ্যমে তাদের
শিক্ষার্থীদের সার্বিক মানের অগ্রগতি। তারা যাতে দ্বীনদার ও চরিত্রবান হয়ে গড়ে ওঠে
এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে দক্ষতার সাথে নিজেদের অভিযোজিত করতে পারে এবং
কর্মক্ষেত্রে নিজেদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারে সেটাই থাকে
একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রতিষ্ঠান স্বভাবতই
শিক্ষককদের উপর বেশী নির্ভর করে।
তাই শিক্ষায় নিজের ও শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে শিক্ষককে প্রশিক্ষণসহ শিক্ষার
নানাদিক আয়ত্ব করে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হয়। এ লক্ষ্যে শিক্ষকের মৌলিক দায়িত্ব ও
কর্তব্য,
শিশুর পাঠদান পদ্ধতি ও শিখনফল নির্ণয়ের কিছু দিক তুলে ধরা
হল।
শিক্ষকের মৌলিক দায়িত্ব ও কর্তব্য : শিক্ষক শ্রেণীকক্ষের প্রাণ। তাকে ঘিরেই পঠন-পাঠন প্রক্রিয়া আবর্তিত হয়। তাই
তার দায়িত্ব-কর্তব্যও অনেক। এসব দায়িত্বের কিছু ব্যক্তিগত, কিছু প্রাতিষ্ঠান-প্রশাসন কেন্দ্রিক, কিছু
শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক এবং কিছু সহকর্মী কেন্দ্রিক। শিক্ষকের মৌলিক কিছু দায়িত্ব ও
কর্তব্য এখানে তুলে ধরা হ’ল-
ব্যক্তিগত দায়িত্ব-কর্তব্য :
১. শিক্ষক নিয়োগের সময় প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় চাহিদাপত্র প্রদান করবেন। যেমন:
সিভি, সবধরনের সার্টিফিকেট, ছবি ইত্যাদি।
২. শিক্ষক সময়নিষ্ঠ হবেন। সময় মত প্রতিষ্ঠানে হাযির হবেন এবং ছুটির পর ক্লাস
ত্যাগ করবেন।
৩. পেশাগত উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ নিবেন। প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ও মাসিক
মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করে নিজেকে শানিত করবেন এবং গৃহীত প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে পাঠদান
করবেন।
৪. শিক্ষা সংক্রান্ত আধুনিক কলাকৌশল ও পারদর্শিতা অর্জন করবেন।
৫. শিক্ষার্থীদের নিজ সন্তানের দৃষ্টিতে শিক্ষাদান করবেন। কোনো ভাবেই
শিক্ষার্থীকে মানসিক ও শারিরীক প্রেসার বা আঘাত করবেন না।
৬. লেসনপ্লান প্রণয়ন করবেন এবং তদনুসারে ক্লাস নিবেন।
৭. শিক্ষক যে কারো কাছ থেকে সব রকম জ্ঞান অর্জনে সদা সচেষ্ট থাকবেন।কারণ,
জ্ঞানার্জনের কোনো শেষ নেই।
৯. পারিবারিক, সামাজিক ও দ্বীনী ক্ষেত্রে সকলের সাথে
মিলেমিশে কাজ করবেন।
১০. পারিবারিক বিবাদ, সমস্যা, কলহ থাকলে কখনো শিক্ষদানে নিয়োজিত হবেন না। এতে
করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা মারাত্ত্বক সমূহ ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে।
১১. সর্বোপরি একজন দ্বীনি শিক্ষকের আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহ
ও তার রাসূলের আনুগত্য হবে তার জীবনের মহৎ ব্রত।
প্রতিষ্ঠান-প্রশাসন কেন্দ্রিক দায়িত্ব-কর্তব্য :
১. কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করবেন।
২. কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থল ত্যাগ করবেন না এবং কর্মস্থলে
অনুপস্থিত থাকবেন না।
৩. নৈমিত্তিক ছুটিসহ যে কোন ছুটির জন্য কর্তৃপক্ষকে আগেভাগে জানাবেন এবং ছুটি
মঞ্জুর করে নিবেন।
৪. চাকুরি সংক্রান্ত নিজের প্রয়োজন ও সুবিধা-অসুবিধার কথা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে
জানাবেন।
৫. প্রতিষ্ঠান প্রধান, ব্যবস্থাপনা পরিষদ ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং
সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন। কোন কারণে মনোমালিন্য হ’লে তা সঙ্গে সঙ্গে মিটিয়ে ফেলবেন।
৬. কোনো ভাবেই গ্রুপিং করা থেকে বিরত থাকবেন এবং গ্রুপিং কারীকে নিবৃত রাখা না
গেলে অব্যাহতি নিয়ে নিবেন। কারণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই গ্রুপিংকারী
শিক্ষক-স্টাফদের কারণে সমূলে ধ্বংস হয়ে যায়।
৭. হাজিরা খাতায় যথাসময়ে স্বাক্ষর করবেন।
৮. প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ যখন যে নির্দেশ দিবেন তখন সেই নির্দেশ পালন করবেন।কারণ,
কর্তৃপক্ষ কখনো খারাপ কাজের জন্য আপনাকে বলবে না। প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের
কল্যাণেই পুরো প্রতিষ্ঠানের সব কিছু নিয়োজিত। সুতরাং কখনো প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা
করবেন না। আপনার ভালো না লাগলে অব্যাহতি নিতে পারেন।
৯. প্রতিষ্ঠানের অফিসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং প্রতিষ্ঠানে এসে
প্রধানের সঙ্গে দেখা করবেন; বাড়িতে/বাসায় যাওয়ার সময়ও দেখা করে
যাবেন।
শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক দায়িত্ব-কর্তব্য :
১. ক্লাস রুটিন অনুযায়ী সময় মত শ্রেণীকক্ষে হাযির হবেন এবং নির্ধারিত সময়ে
শ্রেণীর কার্যক্রম শেষ করবেন।
২. শিক্ষার্থীদের নাম হাজিরা করবেন।
৩. শিক্ষার্থীদের নাম মুখস্থ করে তাদেরকে নিজের পাঠকেন্দ্রীক
নির্দেশনা শোনার প্রতি আকৃষ্ট করার কৌশল গ্রহণ করবেন।
৪. পাঠ দানের বিষয় নিজ ডায়রীতে লিখে রাখবেন। যেন পাঠদান করতে গিয়ে কোথায় পড়া
তা শিক্ষার্থীদের কাছে জিজ্ঞেস করতে না হয় এবং পূর্বপ্রস্ত্ততি ছাড়াই পাঠদান করা
না হয়।
৫. শিখনফল অর্জিত হচ্ছে কি-না তা মূল্যায়ন করবেন।
৬. তার ক্লাসগ্রহণ যেন আনন্দঘন হয়,যান্ত্রিক না
হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. পাঠ আয়ত্ব করার কৌশল শিখাবেন।
৮. শিক্ষার্থীদের কারও প্রতি বিদ্বেষ এবং কারও প্রতি পক্ষপাতিত্ব করবেন না।
৯. পরীক্ষার উত্তরপত্র যথাসময়ে মূল্যায়ন করে পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করবেন।
১০. মূল্যায়নকালে তিনি নৈর্ব্যক্তিক থাকবেন। কাউকে কম এবং কাউকে বেশী নম্বর
দিবেন না।
১১. পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার কৌশল শিখাবেন।
১২. শিক্ষার্থীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করবেন, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করবেন না।
১৩. শিক্ষার্থীর অসদাচরণ কিংবা পড়া না পারার জন্য দৈহিক ও মানসিক শাস্তি দিবেন না। ভালোবেসে সংশোধনের চেষ্টা
করবেন।
১৪. শিক্ষার্থীদের জ্ঞানস্পৃহা বাড়াতে তাকে প্রশ্ন করতে দিবেন এবং তিনি উত্তর
দিতে চেষ্টা করবেন।
১৫. তাদের বিভিন্ন ভাষা শিখতে অভিধান ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবেন।
১৬. শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গীর উন্নয়নে সচেষ্ট থাকবেন।
১৭. শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেরণা সৃষ্টি করবেন।
১৮. শিক্ষার্থীদের দৈহিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক বিকাশে কাজ করবেন।
১৯. তাদের দ্বীন-ধর্ম পালন ও চরিত্র গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।
২০. তাদের সুখ-দুঃখ, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যাদি জানা ও সমাধানের চেষ্টা করবেন।
২১. ছোটদের স্নেহ, বড়দের সম্মান ও সমবয়সীদের সঙ্গে করণীয় আচরণ
শিখাবেন।
২২. শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, দ্বীনী ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে সচেতন
করবেন।
২৩. শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য একজন অনুকরণীয় আদর্শ মানুষ হবেন।
সহকর্মী কেন্দ্রিক দায়িত্ব-কর্তব্য :
১. সিনিয়রদের সম্মান, জুনিয়রদের স্নেহ এবং সমবয়সীদের ভালোবাসা
জানাবেন।
২. তাদের সঙ্গে ভ্রাতৃসুলভ আচরণ করবেন।
৩. শিক্ষণ-শিখন বিষয়ে পারদর্শিতা ও দক্ষতা অর্জনে তাদের পরামর্শ নিবেন।
৪. প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখবেন।
৫. সকলের সুখে-দুখে সহমর্মিতা জানাবেন এবং যথাসাধ্য সহযোগিতা করবেন।
৬. প্রতিষ্ঠানের সকলে মিলে এক পরিবার হয়ে থাকবেন।
শিক্ষক তার এসব দায়িত্ব যথাসাধ্য পালন করলে ইনশাআল্লাহ তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সমাজের মাঝে একজন গ্রহণযোগ্য ও প্রিয়ভাজন মানুষ হিসাবে পরিগণিত
হবেন। তার দ্বারা শিক্ষার্থীবৃন্দ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশানুরূপ উপকৃত হবে।
শ্রেণী শিখন কার্যক্রম
শিক্ষক সালাম দিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করবেন। শিক্ষার্থীরা সালামের জবাব দিবে।
সুন্নাহ অনুসারে কম মানুষ বেশী মানুষকে সালাম দিবে। তবে ‘ছোটরা বড়দের সালাম দিবে’ এ হাদীছ অনুযায়ী
ছাত্ররাও সালাম দিতে পারে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ঠিকমত বসার ব্যবস্থা করবেন।
মেধাবী,
মধ্য মেধাবী ও স্বল্প মেধাবীদের একত্রে এক বেঞ্চে বসাবেন।
হাযিরা খাতায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিবেন। ক্লাস ক্যাপটেন আগেই বাড়ির কাজ তুলে
রাখবে। তিনি ক্লাসেই অথবা ক্লাসের বাইরে তা দেখবেন। মূল্যায়ন করে নম্বর দিবেন। ভুল
থাকলে সংশোধন করবেন। ভুল এড়ানোর কৌশল শিখাবেন।
এরপর শিক্ষক বোর্ডে পাঠশিরোনাম লিখবেন এবং শিখন কাজের সময় বিভাজন করে পাঠটীকা
অনুসারে পড়ান শুরু করবেন। ক্ষেত্রমত তিনি উপকরণ ব্যবহার করবেন।
ভাষা শিক্ষা ক্লাসে শোনা, বলা, পড়া ও লেখার দক্ষতা যাতে বাড়ে সেভাবে শিক্ষার্থীদের প্রেরণা যোগাবেন। গ্রামার, কাওয়ায়েদ ও ব্যাকরণের ক্ষেত্রে বেশী বেশী উদাহরণ দিবেন। শিক্ষার্থীদের দিয়ে
উদাহরণ তৈরি করাবেন। তারা উদাহরণ থেকে যাতে ব্যাকরণের সূত্র বা কায়দা-কানুন ধরতে
পারে সে লক্ষ্যে তাদের দিয়ে অনুশীলন করাবেন।
প্রদর্শনযোগ্য বিষয় হ’লে ক্লাসের ভিতরে কিংবা বাইরে তার সঠিক নিয়ম
করে দেখাবেন এবং ভুল নিয়ম পরিহার করতে বলবেন। যেমন, ওযু,
সালাত, জানাযা, কবর খনন, কাফন কাটা, বিবাহ পড়ান ইত্যাদি বাস্তবে করে দেখাবেন।
শিক্ষার্থীদের পড়ার ও কাজের সুযোগ দিবেন। ৪/৫ মিনিট তারা নীরবে পড়ে বুঝার
চেষ্টা করবে এবং না বুঝলে কিংবা অধিকতর জানার জন্য তাদের প্রশ্ন করার সময় দিবেন।
জিজ্ঞাসা বিদ্যার অর্ধেক।
শিক্ষার্থীরা সঠিক উত্তর দিলে বা খাতায় সঠিকটা লিখলে উদ্দীপনামূলক শব্দে তাদের
ধন্যবাদ জানাবেন। যেমন বলবেন, ‘ভালো’, ‘খুব ভালো করেছ’, ‘এগিয়ে যাও’, ‘খায়ের’
‘জাইয়্যেদ জিদ্দান’ ‘good’, very good’ ইত্যাদি। এতে শিক্ষার্থী তার কাজের স্বীকৃতি পাবে এবং শিক্ষার প্রতি
অনুপ্রাণিত হবে। না পারলে কখনো কাউকে হতাশামূলক ও নেতিবাচক কথা বলবেন না। বরং আরও চেষ্টা করো’, ‘আগামীতে অবশ্যই ভালো হবে’ ইত্যাদি বলে প্রেষণা
যোগাবেন। শিক্ষার্থীদের অপারগতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্যের জন্যই তো শিক্ষক।
বিঃদ্রঃ বড় বড় প্রসিদ্ধ, বিদগ্ধ আলেম এবং বিখ্যাত ট্রেইনারদের মাধ্যমে
সাপ্তাহিক/মাসিক ও বার্ষিক উদ্যোগ নিয়ে আমাদের অত্র প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষক/শিক্ষিকাদের আত্মশুদ্ধি ও বিষয়ভিত্তিক ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে উপরোল্লিখিত সব বিষয়ের
পারদর্শী করে গড়ে তোলার লক্ষে প্রশিক্ষণ ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়।